পুলিশের অভিযানে রেললাইন ছাড়লো শিক্ষার্থীরা

রেললাইন থেকে সরে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১২ মার্চ) রাত পোনে ১১টার দিকে পুলিশের বিশেষ শাখা ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা জলকামান নিয়ে অভিযানের প্রস্তুতি নিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা রেলের একটি স্লিপার ও অন্তত ৯২টি পেন্ডেল খুলে নেয়। পরে শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা সংলগ্ন কৃষি অনুষদের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে জলকামান নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের বিশেষ শাখা সিআরটির সদস্যরা। একই সময় ঘটনাস্থলে আসেন রাজশাহী পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমানসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তাব্যক্তিরা। তারা মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের রেললাইন ছেড়ে আবাসিক হলে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা রেললাইন থেকে সরে ক্যাম্পাসে চলে আসে।

রেললাইনে আগুন দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পরে পুলিশ সদস্যরা অভিযান শুরু করেন। তারা রেললাইনের জ্বলন্ত আগুন নেভান। এ সময় তারা একটি  স্লিপার ও চারটি পেন্ডেল উদ্ধার করেন।

অভিযানের বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করছে। এতে পুরো দেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রেলওয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ, তাই আমরা এখানে এসেছি। তবে এখানে আসার পর কোনও শিক্ষার্থীকে দেখতে পাইনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে রেললাইন ঠিক করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তার বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগামী তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে।’