ঈদের দিন বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর প্রাণ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত ও চার জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার পৃথক স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

হাইওয়ে পুলিশের কুন্দারহাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল হাসনাত বলেন, ‘বিকালে উপজেলার কাথম বেড়াগাড়ি এলাকায় বেপরোয়া গতিতে চালানোর সময় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ও চাকলমা এলাকায় একটি মোটরসাইকেল অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।’ 

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আট চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

নিহতরা হলেন—নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া গ্রামের নান্টু মিয়ার ছেলে হোটেল ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন (২৮), গাইবান্ধা সদরের পূর্বপাড়ার গোলাম হোসেনের ছেলে আবিদার হোসেন (২৪) এবং নন্দীগ্রামের কল্যাণনগর এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে বুলবুল হোসেন (২৫)।

আহতরা হলেন—নিহত ইমরানের স্ত্রী মারুফা বেগম ও ভাতিজা মো. মানিক (২৬)। মানিককে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আবিদার হোসেন মোটরসাইকেলে এক বন্ধুকে নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বগুড়ার দিকে
যাচ্ছিলেন। অপরদিকে এমরান হোসেন তার স্ত্রী মারুফা ও ভাতিজা নিয়ে কুন্দারহাট থেকে নন্দীগ্রাম সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে আসা দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয় কাথম বেড়াগাড়ি এলাকায়। এতে ঘটনাস্থলেই আবিদার হোসেন ও ইমরান হোসেন নিহত হন। আহত হন ইমরানের স্ত্রী ও ভাতিজা এবং আবিদারের বন্ধু। হাইওয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

অপরদিকে, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বুলবুল হোসেন ও তার বন্ধু মানিক মোটরসাইকেলে নন্দীগ্রামের কাথম এলাকায় যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে
তারা কাথম মোড়ে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে আহত হন বুলবুল ও মানিক। তাদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। সিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কুন্দারহাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল হাসনাত বলেন, ‘শনিবার বিকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত এবং চার জন আহত হন। মরদেহগুলো বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলতি মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’