বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বিধবা কার্ড অন্যকে দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

বগুড়ার ধুনটের মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান আহম্মেদ জেমস মল্লিকের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বিধবা ভাতার কার্ড অর্থের বিনিময়ে আরকেজনকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।

দীর্ঘ এক বছর ভাতা না পেয়ে আয়শা খাতুন (৮১) নামে ওই বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধা আয়শা খাতুন বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্বামী আবু বকর মারা গেলে তিনি বিধবা ভাতার কার্ড পান। তবে এক বছর ধরে তিনি ভাতা পাচ্ছেন না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার মৃত্যু সনদ দিয়েছেন। তার নামে ইস্যু করা বিধবা ভাতার কার্ড অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে।

আয়শা খাতুনের মৃত্যু সনদে লেখা আছে, তিনি ২০২২ সালের ২৪ জুন মারা গেছেন। 

আয়শা খাতুন বলেন, ‘গ্রামের এক ভাতিজার সহযোগিতায় বিধবা কার্ড পেয়েছিলাম। চেয়ারম্যান আমাকে মৃত বানিয়ে ভাতার কার্ডটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।’

ধুনট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফি জানান, সরকারি ভাতাভোগীর মৃত্যু হলে ইউপি চেয়ারম্যানের সনদে তা অন্যজনকে দেওয়া হয়। তবে কোনও জীবিতকে মৃত বানিয়ে সনদ দেওয়া হলে সেটা অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান আহম্মেদ জেমস মল্লিক দাবি করেন, পরিষদের কোনও সদস্য তার ব্যস্ততার সুযোগে ওই বৃদ্ধার নামে মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর নিয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে তিনি এ ঘটনা জেনেছেন। মঙ্গলবার পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আজাহার আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জাড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিধবা আয়শা খাতুনকে কার্ড ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।