পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও কেউ হতাহত হয়নি।
কেন্দ্রের নারী বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা বুথের মধ্যে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সংরক্ষিত নারী সদস্য ও চেয়ারম্যন প্রার্থীর দুটি ব্যালট পেপারের বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দুটি বইয়ে প্রায় দু’শ ব্যালট পেপার ছিল।
প্রিজাইডিং অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন, শোরগোল শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাটি কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী পরিদর্শক আব্দুল মালেককে জানাই। আমরা অসহায় ছিলাম। কিন্তু পুলিশ নিজেরাই দায়িত্ব অবহেলা করেছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউল আহসান তালুকদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামিম আহম্মেদসহ বিজিবি, ডিবি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় আমি অন্য প্রান্তে ছিলাম। শোরগোল শুনে দৌড়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছয় রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেটের গুলি ছুড়ি। তবে, এখনও ছিনতাই হওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার করতে পারিনি।
ভোটের নিরাপত্তায় স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামিম আহম্মেদ ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আমি নিজেও সকালে এসে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে মোবাইল নম্বর দিয়ে যাই। কিন্তু, তারা ঠিকমত সমন্বয় করতে পারেননি। পুলিশেরও দায়িত্ব অবহেলা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
/বিটি/ এফএস/