সারিয়াকান্দির বাঙালি নদীতে অবাধে বালু উত্তোলন, ঝুঁকির মুখে জোড়গাছা সেতু

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় প্রভাবশালীরা বাঙালি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এতে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৮০ মিটার দীর্ঘ জোড়গাছা সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে গাবতলী, ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার সঙ্গে দক্ষিণ পাশের উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন

অভিযোগ উঠেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে নারচী ইউনিয়নের গণকপাড়া, পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি, সদর ইউনিয়নের পাইকপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের মাছিরপাড়া, ডোমকান্দি ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ভেলাবাড়ি ও জোড়গাছা বাঙালি নদীর সেতুর নিচে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। বালু বিক্রি করে তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও নদীর তীরে ভাঙন অব্যাহত  রয়েছে এবং ফসলি জমিগুলো দেবে যাচ্ছে। আশপাশের বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে ভূমি ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার সরেজমিন সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ি ইউনিয়নে ভেলাবাড়ি ও জোড়গাছা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রভাবশালীরা জোড়গাছা সেতুর কাছেই বাঙালি নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে। কাছেই ড্রেজারের মতো আরও ১৫টি মেশিন বসানো হয়েছে। ওই এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় এমপি আবদুল মান্নান সেতুটি নির্মাণ করে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার লাখ লাখ মানুষের চলাচলের পথ সুগম করে দেন। অথচ মাত্র কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বালু উত্তোলন করে সেতুটিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক প্রবীর সিকদারফেসবুকে প্রবীর সিকদার : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাকে বাঁচান!

ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল উদ্দিন জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে নদী থেকে মেশিনের মাধ্যমে বালু তুলছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসন জানলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বাঙালি নদীতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তার জানা নেই। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এফএস/

আপ:এইচকে