নীলফামারী থেকেও দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

কাঞ্চনজঙ্ঘাশীত আসি আসি করছে বাংলাদেশে। এখনও জেঁকে বসতে পারেনি হিমেল হাওয়া। মেঘমুক্ত নীল আকাশে সুর্যের কিরণ এখনও জ্বলজ্বলে। আর এই শান্ত স্বচ্ছ আকাশের প্রান্তরে তাকিয়ে দেখা মিলবে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের। নীলফামারীর বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তরের দিকে তাকালে এখন সহজেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার সর্বোচ্চ চুড়া।

স্থানীয়রা জানান, বছরের অন্য সময়ে হিমালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের দেখা পেতে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় যেতে হতো। কিন্তু এখন এটি নীলফামারীর চিলাহাটি, ডিমলার তিস্তা নদী ও সদরের ইটাখোলার উঁচু ফাঁকা স্থানে দাঁড়ালে কাঞ্চনজঙ্ঘার সাদা বরফের গায়ে সূর্য কিরণের চকচকে  আভা চোখে পড়ছে। এই জন্য বাইনোকুলারেরও প্রয়োজন পড়ছে না। সূর্যের আলোর কমবেশির সঙ্গে সঙ্গে হিমালয়ের রূপও পরিবর্তিত হয়, যা প্রকৃতি প্রেমীদের আরও মুগ্ধ করে তোলে।

উত্তরের আকাশে নয়নাভিরাম হিমালয় মূলত বরফে ঢাকা সাদা মেঘের মতোই। সেই সঙ্গে রয়েছে পিরামিডের মতো কাঞ্চনজঙ্ঘার চুঁড়া।  

জেলার জলঢাকা উপজেলার বেরুবন্দ এলাকার আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর ভালোভাবে চুঁড়াটির দেখা না মিললেও এবার খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় দেখা যাচ্ছে অপরুপ এই দৃশ্য।’

চিলাহাটি এলাকার স্কুল ছাত্রী রোকসানা, পলাশ, এলাকার কৃষক হামিদুল ও ডিমলার তিস্তা পাড়ের হারুন মাঝি, জলঢাকা বেরুবন্দ গ্রামে মোজাম্মেল হকসহ অনেকেই জানান, এর আগে এতো পরিষ্কারভাবে হিমালয়ের চুঁড়া দেখা যায়নি। এবার মেঘমুক্ত নীল আকাশে সূর্যের আলোয় উত্তর দিকে তাকালেই সহজেই চোখে পড়ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার।

নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ও হাতিবান্ধা এলাকার আশরাফ আলী (৪৫) বলেন, ‘আগে আবছা আবছা দেখা যেতো। এবার চকচক করে দেখা যাচ্ছে হিমলায় পর্বত। এলাকার শিশু থেকে বয়স্ক মানুষও এ দৃশ্য দেখে চোখ জুড়াচ্ছে।’

আরও পড়ুন- 


বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন কাস্ত্রো: ড. কামাল

/এফএস/