এদিকে তিস্তা নদীর পানি মারাত্মক ঘোলার কারণে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ক্যামেরার মাধ্যমে নিখোঁজ সুমনের উদ্ধার কাজ করা যাচ্ছে না।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে থাকা লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে তল্লাশি করে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
গোলাম মোরশেদ আরও বলেন, ‘বিজিবি-বিএসএফ’র পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের মাধ্যমেও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার তৎপরতার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিস্তার পানি মারাত্মক ঘোলা হওয়ার কারণে হেলিকপ্টার আনা যাচ্ছে না। তবে সুমন মিয়াকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার না করা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দহগ্রামে আবুলের চর থেকে তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত স্পিড বোটে বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ স্যারসহ আমি পরিদর্শন করেছি। বিজিবি, বিএসএফ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল নিখোঁজ সুমন মিয়াকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। এসব কাজে স্থানীয় জনতাও সহযোগিতা করছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
লালমনিরহাটের দহগ্রামের আবুলের চর নামক ঘটনাস্থল থেকে তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত তিস্তা নদী পর্যবেক্ষণ করেন বিজিবির রংপুর রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ।
রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুবেদার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার আটঘড়িয়ার আউশপাড়া এলাকায়। তার স্ত্রীর নাম জেসমিন আক্তার।
/এআর/