এইচএসসিতে এক যুগের ঐতিহ্য হারালো কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ

08উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে বিগত এক যুগ ধরে জেলার প্রথম স্থান ধরে রাখার ঐতিহ্য হারালো কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ। ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবারে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটি জেলায় তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। আর বিগত বছরের চেয়ে ভালো ফল করে জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ। কলেজটিতে এবারে পাসের হার ৮৫.০২ ভাগ যা বিগত বছরের তুলনায় শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ বেশি। আর ২১টি জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ। এই কলেজের পাসের হার ৫৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ২০ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা শাখায় একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এবারের ফলাফলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ মিলে মোট ২৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৫ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে দুই জন। তবে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে কোনও শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।

এদিকে বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এইচএসসিতে জেলায় প্রথম স্থান ধরে রাখা কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে চলতি বছর ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। কলেজটিতে এবারে পাসের হার ৮৪.৬৬ ভাগ। এ প্রতিষ্ঠানে মোট ৭৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৪ জন।

ফল বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.আব্দুল মান্নান জানান, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পর এবার এ ধরনের ফল বিপর্যয় হলো। এতদিন এইচএসসি’র ফলাফলে আমরাই জেলায় প্রথম স্থান ধরে রাখলেও এবারে তা হয়ে ওঠেনি।

ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের কলেজের ক্লাসে উপস্থিত না থাকা এবং কোচিং ও প্রাইভেটের প্রতি অতি আসক্তিই ফল বিপর্যয়ের কারণ। তবে আগামীতে আমরা আমাদের হারনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চালাবো।

এদিকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে কোনও শিক্ষার্থী এ প্লাস অর্জন করতে পারেনি। একই তালিকায় রয়েছে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ এবং খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

/এআর/