রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফেরে তারা। ঢামেকের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাবা রাজু মিয়া, মা শাহিদা বেগম ও নানা শহিদুল ইসলাম তোফা-তহুরাকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছান।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে কাদশদহ গ্রামের তোফা-তহুরা নানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তোফা-তহুরা ঘরের মধ্যে বিছানায় শুয়ে আছে। এসময় তোফা ঘুমিয়ে থাকলেও তহুরা জেগে ছিলো। জেগে থাকা তহুরা হাত-পা নড়াচড়া করছিলো। এর একটু পরেই জেগে উঠে তোফা। জেগে উঠার পর তোফাও নড়াচড়া করতে থাকে।
এরপর তোফা-তহুরাকে কোলে নিয়ে বাড়ির উঠানে বসেন তার মা শাহিদা বেগম ও নানী সখিনা বেগম। এ সময় তোফা-তহুরা চোঁখে-মুখে বাড়ির উঠানের আলো-বাতাস দেখে নড়াচড়া শুরু করে।
এদিকে, তোফা-তহুরাকে একনজরে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছেন পাড়া-প্রতিবেশিরা। অনেকে তোফা-তহুরাকে কোলে নিয়েও দেখছেন। দুপুর হতে না হতে বাড়িতে আশপাশের এলাকা থেকে আসা লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে।
তোফা-তহুরার নানী সখিনা বেগম বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা শেষে দুই নাতিকে সুস্থ্য পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। তাদের দেখতে গ্রামের নারী-পুরুষ বাড়িতে ভিড় করছে।’
তোফা-তহুরার বাবা রাজু মিয়া বলেন, ‘তোফা ও তহুরার আরও দুটি অস্ত্রোপচার বাকি আছে। তাছাড়া প্রতিমাসে মাসে ঢাকায় গিয়ে তাদের ডাক্তার দেখিয়ে ফলোআপ করাতে হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে রওনা হওয়ার পর থেকে বাড়িতে আসা পর্যন্ত তোফা-তহুরার খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। তোফা-তহুরাকে দেখতে ও স্বাগত জানাতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) গৌতম চন্দ্র পাল সোমবার বিকেলে তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই বিরল ‘পাইগোপেগাস’ শিশু তোফা-তহুরাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ১ আগস্ট ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে তোফা ও তহুরাকে আলাদা করা হয়।