পঞ্চগড়ে সোনিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামিরা কারাগারে

সোনিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামিরা পঞ্চগড়ে স্কুল শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার সোনিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৪ এ হাজির হয়ে আসামিরা জামিন আবেদন করেন। বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

মামলার আসামিরা হলেন তেতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ডবয় মনসুর আলম রাজন ও বাংলালিংকের কাস্টমার কেয়ার কর্মকর্তা আতিকুর রহমান আতিক। 

সোনিয়া কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ওষুধ দেওয়ার কথা বলে সোনিয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন রাজন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে সোনিয়াকে বাংলালিংকের কাস্টমার কেয়ার কর্মকর্তা আতিকের উপজেলা প্রশাসনের কোয়ার্টারের বাসায় নিয়ে যান। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে সোনিয়াকে একাধিকবার ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি তুলে রাখেন রাজন ও আতিক।এসব ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে সোনিয়াকে গত তিন মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পড়ালেখায় অমনোযোগিতা ও নীরবতা দেখে সোনিয়াকে বহুবার জিজ্ঞাসা করলে সোমবার (৯ অক্টোবর)  সে ঘটনার কথা প্রকাশ করে এবং পরদিন আত্মহত্যা করে।

এরপর গত ১৫ অক্টোবর সোনিয়ার মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে রাজন ও আতিকের বিরুদ্ধে তেতুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ক ধারায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন:

কর্মকর্তারা পান উপহার, টাকার বিনিময়ে মেলে ইলিশ শিকারের অনুমতি!

‘টিফিনের সময় পেট ভইরা কলের পানি খাই’