রংপুরে তাণ্ডবের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি মির্জা ফখরুলের

রংপুরে পাগলাপীর ঠাকুরপাড়া গ্রাম পরিদর্শনকালে মির্জা ফখরুল (ছবি- ফোকাস বাংলা)

কিছু দুর্বৃত্ত দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য রংপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, আমরা সেই তাণ্ডবের নিন্দা জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’ সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের পাগলাপীর ঠাকুরপাড়া গ্রামে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন ।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারি দল আওয়ামী লীগ আমাদের দোষারোপ করে। আমি তাদের বিগত দিনগুলোর দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো। কোন সরকারের আমলে হিন্দু, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে? তা দেখলে সবাই বলবে আওয়ামী লীগের আমলে। আওয়ামী লীগের সময়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি দুঃখ পেয়েছি রবিবার যখন টেলিভিশন খুলে দেখলাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঠাকুপাড়ায় এসে বলেছেন, গতকাল আমি নাকি ভয়ে আসিনি। রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনেই আমি রবিবার আসিনি। কারণ রবিবার অন্য একটি দলের কর্মসূচি ছিল। তিনি এসব কথা বলে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা না নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের এক হয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

ঠাকুরপাড়ার লোকজনদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। বিএনপি আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। আসন্ন রসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আমরা সময় মতো আমাদের দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবো।’

এর আগে তিনি ঢাকা থেকে বিমানে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে গাড়িতে করে ঠাকুরপাড়া গ্রামে আসেন। টিটু রায়ের বাড়িতে গিয়ে তার মা ও ভাইসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর ও মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ ও কাপড় দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইছ আহম্মেদসহ অন্য নেতা কর্মীরা।

আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক