গাইবান্ধায় শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি, ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট

02গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১১-১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল হামলা চালিয়ে পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাত পৌনে ১টার দিকে সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুক মোজাহিদপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক জিল্লুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতের অস্ত্রের আঘাতে স্কুল শিক্ষক জিল্লুর রহমান ও তার ছোট ভাই সুজন মিয়া আহত হন। ডাকাতিকালে স্থানীয় জনতা সন্দেহভাজন হিসেবে হাবিব ও আল আমি নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী ছোট ছেলেকে নিয়ে বাইরে বের হলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে আসা ডাকাত দলের সদস্যরা কৌশলে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে। এরপর ডাকাতরা বাড়ির অন্য ঘরের লোকজনকে ডেকে তোলে। একপর্যায়ে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখ ও হাত-পা বেঁধে আটকে রাখে। পরে ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ঘরের মূল্যবান মালামাল লুট করে।

বাড়ির মালিক স্কুল শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, ১১-১২ জনের ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে চায়নিজ কুড়াল, রাম দা ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়ে প্রথমে পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে মুখ ও হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা, স্ত্রী গলায় থাকা চেনসহ পাঁচ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকরসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। ডাকাতদের বাধা দিলে অস্ত্র দিয়ে আমাকে ও ছোট ভাইকে আহত করে। পরে চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’

এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক দুইজন ও অটোরিকশা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এছাড়া শুক্রবার দুপুরে গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মইনুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মইনুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’

আটক হাবিব মিয়া (২৫) সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর গ্রামের মৃত্যু লুতু মিয়ার ছেলে। ও আল আমিন একই গ্রামের লালু মিয়া ব্যাপারীর ছেলে। হাবিব পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক।