কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে দুজনের যাবজ্জীবন

ধর্ষণের ও এতে সহযোগীতা করার অভিযোগে দুইজনের যাবজ্জীবন

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক তাজকির হোসেন ও তার সহযোগী কলেজছাত্রী দুলালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক যাবিদ হাসান এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রোজিনা আখতার রোজি রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকায় বঙ্গভূমি নামে একটি বেসরকারি ছাত্রীনিবাসে থেকে লেখাপড়া করতো। তার এলাকার এবং পূর্ব পরিচিত রংপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দুলালি বেগম একই এলাকার সাকিব বেসরকারি মহিলা ছাত্রীনিবাসে থাকতো। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর দুপুরে দুলালি বেগম তার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটাসহ সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে রোজিনা বেগমকে তার ছাত্রীনিবাসের কক্ষে ডাকে।  রোজিনা সেখানে গেলে দুলালি বেগম তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। একটু পরেই বোরখা ও চোখে চশমা পরা অবস্থায় তাজকির হোসেন ওই কক্ষে ঢুকে। সে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে দুলালি বেগম বাইরে থেকে দরজা ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়। এদিকে বোরখা খোলার সঙ্গে সঙ্গে রোজিনা তাজকিরকে চিনতে পারে। এ সময় তাজকির হোসেন অস্ত্রের মুখে জোর করে তাকে দুদফা ধর্ষণ করে। পরে দরজা খুলে দিলে তাজকির হোসেন আবারও বোরখা পরে বের হয়ে যায়। এ ঘটনা রোজিনা তার বাবা মাসহ স্বজনদের জানায়। পরে এ ঘটনায় রোজিনা নিজেই বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার পর পুলিশ আসামি তাজকির হোসেন ও দুলালি বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক দুই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি রফিক হাসনাইন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাদী পক্ষ ন্যায্য বিচার পেয়েছে।’  অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামাণিক এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।