বিজিবি’র অধিনায়ককে বিদায় জানালেন বিএসএফ অধিনায়ক

বিজিবি’র বিদায়ী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হোসেনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হচ্ছে

ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালো বিএসএফ। ভারতীয় ১৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট রাকেশের নেতৃত্বে এ বিদায় সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়। 

বুধবার ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের জগদল বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার-৩৭৫ থেকে আনুমানিক ২ কিলোমিটার ভেতরে ভারতের কোকরাদহ বিএসএফ ক্যাম্পে এ ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত হয়। এই ফেয়ারওয়েল আনুষ্ঠানের নামকরণ ছিল ‘বিজিবি-বিএসএফ অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ এ অনুষ্ঠানে বিজিবি’র বিদায়ী অধিনায়ক কর্নেল মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫০ ব্যাটালিয়নের নবাগত অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রাজ মামুদ উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফ এর পক্ষে কমান্ড্যান্ট রাকেশের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন  কমান্ড্যান্ট এস এইচ এস হিঞ্জালাল সিমিত, পাঞ্জিপাড়া ১৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক এসএইচ ইনেত রায়।

‘বিজিবি-বিএসএফ অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ অনুষ্ঠান

এসময় নবাগত অধিনায়ককে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট এর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বিজিবি’র বিদায়ী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হোসেনকে বিদায় সংবর্ধনা দেন। এসময় রাকেশ সিনা ও মোহাম্মদ হোসেন বাংলাদেশ সীমানায় গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিজিবি বিএসএফের মিলনমেলায় দুই বাহিনীর সপরিবার মিলিত হওয়ার কথা স্মরণ করেন। এছাড়াও তারা বাংলাদেশ ও ভারতীয় দুই কাউন্টারপার্টের বিপরীত সীমানায় রোপণ করা গাছগুলো কেমন আছে তার খোঁজ-খবর নেন। তারা অতীতের ঠাকুরগাঁও সীমান্তের হত্যা ও চোরাচালানের বিষয় নিয়েও কথা বলেন। এছাড়াও বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে বোঝাপড়া, সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ নিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করারসহ সমন্বয় বজায় রাখার বিষয়ে উভয় পক্ষের ব্যাটালিয়ন কমান্ডারা এক মত পোষণ করেন। অবশেষে কোলাকুলি ও ফটোশেসনের মধ্য দিয়ে বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।  

 বিজিবি’র বিদায়ী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হোসেনকে ফুল দিয়ে বিদায় জানানো হচ্ছে