স্মৃতি কেন্দ্রের দুই কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ফারুখ আহাম্মেদ ও সহকারী গন্থাগারিক আবেদা সুলতানা ১৪ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে চাকরি ফিরে পেয়েছেন। তবে দুই নাইট গার্ড বাতেন ও মজনু চাকরি ফিরে না পেলেও পেয়েছে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি। ফলে স্মৃতি কেন্দ্রটি ফের সচল করেছে বাংলা একাডেমি। তবে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় স্মৃতি কেন্দ্রে শুধু গান আর ছবি আঁকা শেখা ছাড়া আর কোনও কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
স্মৃতি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সংগ্রহ শালায় থাকা আলমারিগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। গবেষণাগারটিও বন্ধ রয়েছে। সুদৃশ্য ভবনটির পলেস্তার খসে পড়ছে। লাইব্রেরিতে নেই তেমন কোনও বইপত্র। রোকেয়ার বাস্তুভিটায় এখন পর্যন্ত সেখানে কোনও স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যেগ নেওয়া হয়নি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হামিদা আলী শনিবার দুপুরে স্মৃতি কেন্দ্রসহ বেগম রোকেয়ার বাড়ি ঘুরে দেখেন। প্রচণ্ড হতাশা প্রকাশ করে এই প্রতিনিধিকে বলেন, বেগম রোকেয়া ছাড়া নারীরা আজ যে অবস্থানে এসেছে তা কোনদিনই সম্ভব হতো না। অথচ স্মৃতি কেন্দ্র দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। বেগম রোকেয়ার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটি তৈরির উদ্যোগ নেন। তিনি এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তিনি আবার এটির নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধনও করেছিলেন। ফলে তিনি পারেন রোকেয়ার স্মৃতিকে চির জাগ্রত করতে।’
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র ও তার বাস্তুভিটা রক্ষায় উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে।