শনিবার পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনদেশের দীর্ঘতম রেলপথ ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে স্বল্প বিরতির আন্তঃনগর ট্রেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ চালু হচ্ছে শনিবার। ওই দিন (২৫ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।

এদিকে, আজ শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে রেলপথমন্ত্রী ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শনে সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনে যান। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেন এবং রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। এ সময় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার মো. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনের মাস্টার মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ট্রেনটি উদ্বোনের পর প্রথম যাত্রী হবেন, রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী বিনামূল্যে ঢাকা যাবেন এবং সব যাত্রীর জন্য রয়েছে ইফতারের আয়োজন।

রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা- এ রেল রুটের দূরত্ব ৫৯৩ কিলোমিটার। যা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১০ ঘণ্টায় অতিক্রম করবে। ট্রেনটি প্রতিদিন দুপুর সোয়া ১২টায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে। রাত ১২টা ১০মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে পঞ্চগড় পৌঁছাবে। যাত্রাপথে রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পাবর্তীপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে। ঢাকা থেকে আসার পথেও এসব স্টেশনে থামবে ট্রেনটি।

ট্রেনটিতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ভাড়া একতা ও দ্রুত যানের সমান রাখা হয়েছে। ট্রেনটির ৩০ শতাংশ আসন পঞ্চগড়ের জন্য, ৩০ শতাংশ দিনাজপুরের, ২৫ শতাংশ ঠাকুরগাঁওয়ের ও ১৫ শতাংশ পার্বতীপুরের জন্য নির্ধারিত থাকবে। সবমিলিয়ে প্রায় এক হাজার যাত্রী পরিবহণ করবে ট্রেনটি।

এ ট্রেন চালু হলে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগে সময় কম লাগবে। ব্যবসা বানিজ্যসহ পঞ্চগড়ের চা, ভুগর্ভস্থ নুড়ি পাথর, উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহন বাড়বে। এছাড়া বিরল ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি সহজতরসহ পর্যটন খাত ব্যাপক প্রসার লাভ করবে। ঈদের আগে নতুন এই ট্রেন সার্ভিস চালুর ফলে বেশ উপকৃত হবেন পঞ্চগড়ের মানুষ।