বিপদসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙনের শঙ্কায় বাঁধ

তিস্তার পানিতে প্লাবিত এলাকাউজানের পাহাড়ি ঢল, টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের সবক’টি স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় পানি ৪ সেন্টিমিটার কমলেও বেড়েছে বাঁধে ভাঙনের শঙ্কা। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার তা কমে ২৪ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়।

এরই মধ্যে জলঢাকা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ১৫টি চর ও চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংশ্বর গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোররাত থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।’

জলঢাকায় শৌলমারী ইউনিয়নের আশরাফ আলী বলেন,  ‘পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে আছি। বাঁধ ভাঙলে শুধু বানপাড়া নয়, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এলাকাবাসী কাঠ, বাঁশ ও বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্ট করছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী জোনের এসডি হাফিজুল হক বলেন, ‘বানপাড়া বাঁধে  ৬০ মিটারের মতো ভাঙন পাওয়া গেছে। আমাদের পক্ষ থেকে ১২০ মিটার পর্যন্ত ওই ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটির স্থায়ী সমাধানের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করা হবে আশা করা যায়।’

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানায়, উপজেলা পরিষদ থেকে বাঁধ  রক্ষায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অচিরেই এর কাজ শুরু করা হবে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন,  ‘উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে আমরা শতভাগ সতর্কাবস্থায় আছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে।’