নিখোঁজের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার

নিহত সুলতান আলী

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌর এলাকায় নিখোঁজের তিন দিন পর সুলতান আলী (৫১) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে শহরের কৃষ্ণপুর কামারপাড়া এলাকার একটি কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান এ কথা জানান।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহত সুলতানের স্ত্রী শিউলি বেগম, ছেলে শরীফ, সুলতানের শ্বশুর ইদ্রিস আলী ও মমিন নামে এক কিশোরকে থানায় নিয়ে গেছে।

নিহত সুলতানের পারিবারের লোকজন জানায়, সুলতান বুধবার (১৪ আগস্ট) থেকে নিখোঁজ। তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও সন্ধান পায়নি। শুক্রবার সকালে বাড়ির পেছনে বৃষ্টির পানি জমে থাকা একটি কৃষি জমিতে সুলতানের লাশ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

সুলতানের স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, সুলতান দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। মাঝে মাঝে তিনি অসুস্থ্য হলে অনেকটা মানসিক রোগীর মত আচরণ করেন। এসময় তিনি বাড়ির লোকজনের ওপর চড়াও হতেন। একই কথা জানান তার ছেলে শরীফও।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, লাশটি দুই-তিন আগের। তাকে হয়তো আগেই হত্যা করে গত রাতে লাশটি ওই জমিতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা সব দিক বিচেনা করে তদন্ত করছি। সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধানে এরইমধ্যে সুলতানের স্ত্রী ও ছেলেসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সুলতানের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

অন্যদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুলতানের অসুস্থ্যতার সুযোগে তার বাড়িসহ সব সম্পত্তি তার স্ত্রী ও ছেলে লিখে নিয়েছেন। বাড়ি ভাড়ার টাকাসহ বিভিন্ন সম্পদের বিষয়ে প্রায়ই স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হতো।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম সদর সার্কেল) উৎপল কুমার জানান, আমরা প্রায় গলিত একটি লাশ উদ্ধার করেছি। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা লাশ সনাক্ত করেছেন। আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়া রয়েছে।