বৃদ্ধকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ: পাঁচ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

বিক্ষুব্ধ জনতার থানা ঘেরাও (ছবি– প্রতিনিধি)

রংপুরের পীরগঞ্জে পুলিশ ফাঁড়িতে সামসুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর ওই ফাঁড়ির পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া, এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার দুপুরে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন এসপি বিপ্লব কুমার। এসময় তিনি জানান, বৃদ্ধকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠায় ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলামসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সোর্স জিয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ১৫ লিটার চোলাই মদসহ বৃদ্ধ সামসুল ইসলামকে আটক করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। তারা আরও দাবি করে, আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে ফাঁড়ির ভেতরে গলায় পরনের জামা পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন সামসুল ইসলাম। তবে নিহতের মেয়ে সান্তনার অভিযোগ, ‘মূলত ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ও পুলিশের সোর্স জিয়া বাবাকে আটক করে একলাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে চোলাই মদের ব্যবসায়ী বানিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে সারারাত নির্যাতন করে হত্যা করেছে তারা। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার কথা বলছে পুলিশ।’

ঘটনা জানাজানি হলে এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে দায়ীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এসময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ২৫ জন আহত হন।

আরও পড়ুন– 

রংপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে বৃদ্ধকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ