পুরনো এলসির বিপরীতে আর পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই

পেঁয়াজচলতি মাসের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। তবে পুরনো এলসির বিপরীতে বাকি পেঁয়াজ রফতানির আর কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মোবারক হোসেন জানান, অভ্যন্তরীণ  বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে আগের এলসির প্রায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আটকা পড়ে ভারতে। কয়েক দফা বৈঠক ও আদালতের দারস্থ হয়ে ৪ অক্টোবর একহাজার টন ও ২২ অক্টোবর ৫০ টন পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত। বাকি সাড়ে ৪০০ টন পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত রফতানি করেনি ভারত। এতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি একেবারে বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি আগের এলসির বিপরীতে আটকে থাকা পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি চেয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫-৭ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনও ফল হয়নি। সর্বশেষ ১৫ তারিখে ফল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। তবে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন, পুরনো এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ রফতানির আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে তাদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই এমাসের শেষের দিকে অথবা ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে সরকার।