মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হামলা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর

সভাস্থল ভাঙচুর করা হয়েছে


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলাসহ সভার চেয়ার, টেবিল ও স্টেজ ভাঙচুর করে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বার) সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল আলম। সভার সভাপতি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াব আসলাম হাবীব। সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠান শুরুর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল পৌনে ৯টার দিকে মুখে কাপড় বাঁধা ৮-১০ জন যুবক সভাস্থলে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল ও স্টেজ ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ জয় বাংলা লেখা সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
এ ঘটনার পর সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করেন ।

মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হামলা করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে ফেলেছে

এ সময় নাসিরনগর থেকে সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা যুগেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ থেকে নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। তাই আমরা দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসেছি। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। তারা অপশক্তি। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এছাড়াও তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আসলাম হাবিব বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসী হামলা। তারা জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল আলম এমএসসি এ ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে দায়ী করে বলেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। এটি জেলা পরিষদ আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠান। এ ঘটনায় জেলা পরিষদ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’