‘প্রভাবশালীর’ বাড়ির জন্য শহীদ মিনার স্থানান্তর!

BT New Tempলালমনিরহাটে প্রভাবশালীর বাড়ি দৃষ্টিগোচর করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থানান্তরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। পৌরসভা মেয়রকে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের মিশন মোড় চত্বরে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নীলাঞ্জন এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।

মানববন্ধনে ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মেয়র রিন্টু (রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু)ভাষা শহীদদের অমর্যাদা করে রাজাকারের মতো বিকৃতভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করতে পারেন না। আপনারা এই কাজ রুখে দিন। যদি না পারেন, তাহলে এই বৃদ্ধ বয়সে প্রয়োজনে আমি রিট করবো, অনশন করবো।’

মানববন্ধনে অন্য বক্তারাও ভাষা সৈনিকের বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরপরই লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ সূফি তাহেরুল ইসলামের পক্ষে লালমনিরহাট জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ পৌরসভা মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

নোটিশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘পুনর্নির্মাণাধীন শহীদ মিনারটির নকশা কোথাও টাঙানো হয়নি। পুরাতন শহীদ মিনারটি এখনও অক্ষত রয়েছে। প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বিলাসবহুল বাড়িটির পশ্চিমে মূল সড়কে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অবস্থিত হওয়ায় সড়ক থেকে বাড়িটি সরাসরি দেখা যায় না। বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে তাই শহীদ মিনারের বেদির স্থান পরিবর্তন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।’

ম্যাপ
তবে শহীদ মিনার স্থানান্তরের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ভবন মালিক সুমন খান।

তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার কোথায় নির্মাণ হবে, তা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। সেখানে আমাকে জড়ানোর মানে নেই। কেউ কেউ ব্যক্তিগত কারণে আমাকে সেখানে জড়াচ্ছেন। বিষয়টি ঠিক নয়।’

বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, ‘পুনর্নির্মাণ কাজ বন্ধ হবে না, কাজ চলবে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে আন্দোলনকারীরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।’ তবে শহীদ মিনারটির পুনর্নির্মাণ কাজের নকশা সেখানে টানানো হবে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।