সরকারি হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের প্রতিষেধক, বিপাকে রোগীরা


কুকুরের আক্রমণের শিকার হাবিব


নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুকুড়ের কামড়ে আহত হন পৌর পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. হাবিব। পরে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিকভাবে টিটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। কারণ হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নেই। ফার্মেসিতেও তিনি ওষুধ পাননি। আবার ফার্মেসিতে যা-ও পাওয়া যায় তার দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে বিপাকে পড়ছেন হাবিবের মতো সাধারণ রোগীরা। 

জানা যায়, সোমবার (২২ জুন) সকালে শহরের আতিয়ার কলোনি এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কারের সময় হাবিবকে একটি কুকুর তেড়ে এসে পায়ে কামড় দেয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিকভাবে টিটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নেই। 
হাবিব জানান, জলাতঙ্কের প্রয়োজনীয় ঢেরোরাস্ক, এআরভি ওষুধ সরকারি হাসপাতাল বা ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না। আর ফার্মেসিতে যদিও পাওয়া যায় তার দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে চিকিৎসা নিয়ে চিন্তায় আছেন তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিমুল বাশার জানান,  কুকুর বা সাপ কামড়ানো রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ইনজেকশনের বরাদ্দ নেই। প্রয়োজন হলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে রোগীকেই সংগ্রহ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরে সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলায় কুকুরের (জলাতঙ্ক) ভেকসিনেশন কার্যক্রম চলছে। এতে গুটি কয়েক কুকুরকে প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। বেশিরভাগ কুকুর ভেকসিনেশনের বাইরে রয়েছে। স্থানীয়দের মতে,
সৈয়দপুর পৌরসভায় যে হারে কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে তাতে পথচলার তাদের আক্রমণের শিকার হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়বে তারা।