নীলফামারীতে করোনার ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে

নীলফামারীতে করোনার ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে টিকা বহনকারী একটি ফ্রিজারভ্যানে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে পৌঁছে।

এ সময় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তার কাছ থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম,  জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, জেলা ড্রাগ সুপার কাজি মহম্মদ ফরহাদ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাসেবুল হোসেন, দিনাজপুরের ডিপো ইনচার্জ অনল কুমার সেন প্রমুখ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, পাঁচটি কার্টনে ৬০ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনে রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে ১ হাজার ২০০ ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি ভায়ালে টিকা দিতে পারবেন ১০ জন করে। সে হিসাবে নীলফামারী জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার নাগরিককে করোনা ভাইরাসের এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।

একজন নাগরিককে ২ ডোজ করে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দিতে হবে। এক ডোজ দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ক্যাটাগরির নাগরিকদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজ ৩১ জানুয়ারি ও কাল ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ প্রতি উপজেলা থেকে ৫ জনকে মানবদেহে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ চলছে। এরপর তারা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় জেলার টেকনেশিয়ান, নার্স, উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার পরিকল্পনা ভিজিটরসহ সংশ্লিষ্টরা দেবেন।

এরপর জেলা স্বাস্থ্য কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির দিকে জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে দুইজন ভ্যাকসিনেটর ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।

সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, নীলফামারীতে আসা করোনার ভ্যাকসিনগুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-আ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা ‘কোভি শিল্ড’। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির দিকে জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।