ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথমদিনে ভ্যাকসিন পাবেন ১১০০ জন

ঠাকুরগাঁওয়ে রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ। প্রথমদিনে ১১০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। সরকারের দেওয়া অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার।

গত ৩১ জানুয়ারি রবিবার জেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে চার হাজার ৮০০ ভায়াল ভ্যাকসিন পৌঁছেছে, এ থেকে ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল জেলার স্বাস্থ্যবিভাগ। তবে নির্দেশনাটি সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়ে প্রথম ধাপে ২৪ হাজার জনকে পরিপূর্ণ দুই ডোজ করে টিকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান। আগের নির্দেশনায় ৪৮ হাজার জনকে এই টিকা দেওয়ার নির্দেশনা এসেছিল।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান জানান, ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেওয়ার পর ক্রমান্বয়ে তা উপজেলায় বরাদ্দ অনুযায়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়, এখন প্রতিটি উপজেলা তাদের বরাদ্দ ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণ করছে। সেখান থেকে রবিবার একযোগে পুরো জেলায় ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। প্রথমদিন সদর উপজেলার ৩০০-৪০০ রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং বালিয়াডাঙ্গি, রাণীশংকৈল, হরিপুর ও পীরগঞ্জের স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে। প্রতিটি স্থানে ১৫০-২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যকর্মী, ৫৫ ঊর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসনসহ সরকারের দেওয়া অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শুধু সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৫০০ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে তিনি জানান।

সিভিল সার্জনকে সভাপতি করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যদের নিয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট করোনা ভ্যাকসিন কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি ভ্যাকসিনগুলো রিসিভ, ভ্যাকসিন প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা করছেন। প্রতিটি ভায়াল থেকে পাঁচ জনের মধ্যে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের এ ভায়াল থেকে জেলার ২৪ হাজার মানুষকে প্রতিজনকে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাদের রবিবার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে তারা ৩০ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পাবে।