মোগলহাট স্থলবন্দর আবারও চালুর দাবি

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা শনিবার চেম্বারের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে লালমনিরহাট শহরে অনতিদূরে পরিত্যক্ত মোগলহাট স্থলবন্দরটি আবারও চালু করার দাবি করা হয়। 

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ও পরিচালক জহুরুল ইসলাম টিটুর সঞ্চালনায় দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন শিল্পোদ্যোক্তা ও লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র ও চেম্বার পরিচালক মো. রেজাউল করিম স্বপন, সাবেক সভাপতি একেএম কামরুল হাসান বকুল, চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম তপন, সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুমন খাঁন, চেম্বার পরিচালক মোড়ল হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

শেখ আব্দুল হামিদ বাবু বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ব্যবসায়বান্ধব নেত্রী। মোগলহাট স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তাকে সঠিকভাবে বোঝাতে পারলেই তা আবারও চালু করা সম্ভব। লালমনিরহাটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের কোনও বিকল্প নেই। এজন্য রাজনৈতিক দল ও চেম্বারের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর সচল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি স্থাপন করছেন। এখন লালমনিরহাট বিমানবন্দর ও রেলওয়েকে ঢেলে সাজাতে পারলে এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তোলা হলে উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই জেলা হবে বিদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থল। এসব দাবিনামা বাস্তবায়ন করার জন্য সবাইকে সব ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।’

লালমনিরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম স্বপন বলেন, ‘এই লালমনিরহাট পৌরসভাকে ব্যবসায়ীদের জন্য গড়ে তোলা হবে। স্বচ্ছ, সুন্দর ও বসবাসের উপযোগী শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এতে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর সহযোগিতা চাই।’

চেম্বার সভাপতি মো. সিরাজুল হক বার্ষিক আয়-ব্যয় তুলে ধরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন।