নিহত ১৭ জনের বাড়িই রংপুরের পীরগঞ্জে

রাজশাহীর কাটাখালি কাপাশিয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১৭ জনের সবার বাড়িই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তাঁরা পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মাইক্রোবাসে পিকনিক করতে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘রাজশাহীর কাটাখালিতে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ জন নিহত এবং দুই জন আহত হন।’

দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের আগুন লাগেনিহতদের ১৬ জন হলেন—পীরগঞ্জ উপজেলার দারিকাপাড়া গ্রামের মোখলেছার রহমান, তার স্ত্রী পারভীন বেগম, ছেলে পাভেল। প্রজাপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলাম ভুট্ট, তার স্ত্রী মুক্তা বেগম ও ছেলে ইয়ামিন। বড় মজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়া, তার স্ত্রী নাজমা বেগম এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৭) ও সাজিদ (৩)। রাজারামপুর গ্রামের সালাহ উদ্দিন, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম ও ছেলে সজিব মেয়ে সাবা ও শ্যালিকা কামরুন্নাহার বেগম। দরাকুঠি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভার পচা।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে পীরগঞ্জের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ১৪ সিটের একটি হাইএক্স মাইক্রেবাস কিনে আনেন। শুক্রবার সকালে ৪টি পরিবারের সদস্যসহ ১৭ জন ওই মাইক্রোবাস ভাড়া করে রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে পিকনিক করতে যাচ্ছিলেন। কাটাখালি কাপাশিয়া এলাকায় পৌঁছার পর তিনটি যানের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৭ জন।

দুর্ঘটনাকবলিত যানওসি সরেস চন্দ্র জানান, রাজশাহী থেকে তাকে ওয়ারলেস ম্যাসেজ করে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘নিহতদের স্বজনরা দুটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে গেছেন।  মরদেহ নিয়ে রাতের মধ্যে তাদের  ফেরার কথা রয়েছে।’

এদিকে নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে পীরগঞ্জ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন...

বাস-মাইক্রো-সিএনজির ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ১৭