নিবন্ধন করেও মিলছে না করোনার টিকা!

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী নির্দিষ্ট একটি ওয়েবপোর্টাল এবং অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ওই পোর্টালে ৪০ ঊর্ধ্ব সাধারণ নাগরিক ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪০ বছরের নিচে যেকোনও বয়সের সম্মুখ সারির করোনাযোদ্ধারা নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না সাধারণ নাগরিকরা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথম ধাপে দিনাজপুরের জন্য ভ্যাকসিন বরাদ্দ এসেছিল ৯৬ হাজার। এর পর দুই ধাপে আরও ৯ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। মোট এক লাখ পাঁচ হাজার টিকার মধ্যে দুই ধাপে ঘোড়াঘাট উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তিন হাজার ৯৬০ ডোজ ভ্যাকসিন। টিকা পৌঁছানোর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ঘোড়াঘাট উপজেলায় প্রথম ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৮ দিন পর গত ২৭ তারিখে প্রথম ধাপের বরাদ্দকৃত ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ হয়। এরপর থেকে নিবন্ধন করলেও ভ্যাকসিন না থাকায় টিকা নিতে পারছেন না নিবন্ধনকারীরা।

টিকাগ্রহনের জন্য নিবন্ধনকারী ইমরুল কায়েস ও আয়েশা সিদ্দিকা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে করোনার টিকা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করি। গত ২৯ তারিখে টিকা নেওয়ার তারিখ ছিল। তবে টিকা নিতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভ্যঅকসিন নেই বরে জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ আহম্মেদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আর কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখন যারা নিবন্ধন করছেন, তাদেরকে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন আসলে দেওয়া হবে।

দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ ভ্যাকসিন স্বল্পতার কথা স্বীকার করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর যদি যথা সময়ে ভ্যাকসিন দেশে আসে, তাহলে ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এক লাখ পাঁচ হাজার টিকার অনুকূলে দিনাজপুর জেলায় নিবন্ধন রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার জনের। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত পুরো জেলায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৫০০ জন।