লালমনিরহাটে জুয়েল হত্যা মামলা: এবার সেই ইউপি সদস্য গ্রেফতার

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে কোরআন শরিফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পাটগ্রাম থানা ও লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের একটি দল। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বুড়িমারী বাজার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

মো. হাফিজুল ইসলাম পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের মৃত ইছামুদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুক এসব তথ্য জানান।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকালে হাফিজুল ইসলামকে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ এ সোপর্দ করা হবে। তিনি জুয়েল হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন। তবে তাকে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

পাটগ্রাম থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর শহিদুন্নবী জুয়েল ও তাঁর বন্ধু মোটরসাইকেলে বুড়িমারীতে আসেন এবং বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন। ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবুল হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে জুয়েলের কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার গুজব ছড়ানো হয় জুয়েলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মসজিদের ভেতরে ও বাইরে জুয়েলকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম। তিনি জুয়েল ও তাঁর বন্ধুকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যান এবং মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে তাঁদের আটকে রেখে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান এএসএম শাহ নেওয়াজ নিশাত, পাটগ্রামের ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্তকে খবর দেন।