প্রাথমিকের শিক্ষক দম্পতির করোনায় মৃত্যু

স্বামীর পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে কুলছুম হ্যাপী (৪৯) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় এ শিক্ষিকার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৮ জুন এ শিক্ষিকার স্বামী জিয়াউল হায়দার মন্ডল (৫৪) ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার স্বামীও কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ মরানদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

তারা লালমনিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাপটানা বাজার এলাকার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, লালমনিরহাট পৌরসভা এলাকায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ায় জেলা প্রশাসন সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, মানুষকে বারবার সতর্ক করার পরও কেউ কেউ কথা না শুনছেন না। এবার সেজন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১২২ জন।