করোনা ও উপসর্গে রংপুরে একদিনে ২১ মৃত্যু

রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলায় দুই নারীসহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং বাকিরা উপসর্গের রোগী ছিলেন। 

একই সময়ে ৮৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ২২ দিনে বিভাগে ৩২ নারীসহ ৩৩৪ জনের মৃত্যু হলো। 

করোনায় ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম। পাশাপাশি করোনার উপসর্গ নিয়ে ছয় জনের মৃত্যুর বিষয়টি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সরদার অফিসের আফসার আলী নিশ্চিত করেছেন।

করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ, কুড়িগ্রামের তিন, নীলফামারীর তিন, দিনাজপুরের দুই, রংপুর ও পঞ্চগড়ের একজন করে। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৬২ জন।

এদিকে বিভাগের দুই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২৬টি আইসিইউ শয্যার একটিও খালি নেই। রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যার দুটিতে ভেন্টিলেটর নেই। ফলে সচল আইসিইউ শয্যার সংখ্যা আটটি। সেখানে রোগী ভর্তি আছে নয় জন। 

অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৬টি শয্যার একটিও খালি নেই। রংপুরের করোনা হাসপাতালে ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৩১ শয্যায় রোগী আছে ১৩৮ জন। দিনাজপুরে করোনার রোগী ভর্তি আছে ১৮৩ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম আইসিইউ খালি না থাকার কথা স্বীকার করেছেন। 

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, বিভাগের আট জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

এ পর্যন্ত বিভাগে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ জনের। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬১৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৭১ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাট এবং বিভাগীয় শহর রংপুরে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৬১০, রংপুরে আট হাজার ৪৯৯, ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ হাজার ৩১৭ এবং কুড়িগ্রামে দুই হাজার ৮৪০ জন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং মাস্ক না পরায় প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে বলেও জানান ডা. জাকিরুল ইসলাম।