কিশোরীর সঙ্গে বাল্যবিয়ে, বরের মামলায় চেয়ারম্যান-কাজি কারাগারে

ঠাকুরগাঁওয়ে সালিশের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে দেওয়ার মামলার এক ইউপি চেয়ারম্যান, কাজি ও স্থানীয় সাংবাদিকসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে জামিন নিতে আদালতে গেলে বালিয়াডাঙ্গি দুওসুও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, বিয়ের কাজি আব্দুল কাদের ও স্থানীয় সাংবাদিক আবুল কালামসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলার অন্য আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি সালিশের মাধ্যমে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলা চাড়োল ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে একই এলাকার মিজানুরের (২৬) বিয়ে হয়। তবে ওই কিশোরীর সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে মিজানুর ঠাকুরগাঁও কোর্টে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মিজানুর বলেন, ‘অন্যায়ভাবে একটি সালিশের নামে আমাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেই মেয়েটির সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছে সেও কিশোরী। তাই এই বিষয়ে আমি সঠিক বিচার দাবি করছি।’

এদিকে, বিষয়টিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে এর সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন আসামির স্বজনরা। তাদের দাবি, যেই মেয়েটিকে নাবালিকা বলা হচ্ছে, এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। আগেই যেখানে তার একটি বিয়ে হয়েছিল সে কীভাবে নাবালিকা হয়।