ফের সৌন্দর্য মেলে ধরেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কাঞ্চনজঙ্ঘা। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলছে। চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য মেলে ধরে কাঞ্চন যেন দু’হাত বাড়িয়ে ডাকছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

এর আগে, ১১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেখা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। এর পর, আর দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার ভোর থেকে এ অপরূপ দৃশ্য চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে উঠেছে। বিগত বছরগুলোতে অক্টোবরের শুরু থেকে এমন দৃশ্য দেখা যেত। চলতি বছর সেপ্টেম্বরেই আকস্মিক কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দেওয়ার পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা তেঁতুলিয়ায় আসতে শুরু করেন। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে না পাওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যান।

আজ ভোর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্ট দেখা দেওয়ায় তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে তেঁতুলিয়ার সরকারি-বেসরকারি সব রেস্ট হাউজ ও হোটেলগুলো অগ্রিম বুকিং শুরু হয়। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরই কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করেন স্থানীয়রা। এবারও তারাই প্রথম দর্শন করেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। শীতকাল ও কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য উপভোগ করতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ভিড় করেন তেঁতুলিয়ায়। 

দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম ইবনাত মুন ও আফিয়া মোবাশ্বিরা তানিয়া জানান, ভোরের আকাশে কালচে, এরপর শুভ্র বরফের সবশেষ সোনালী বর্ণের কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য সব পর্যটকদের আনন্দ দেবে। পাশাপাশি সূর্যাস্তের সময় নানা বর্ণের কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেবে। এক কথায় নিজের চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করার মতো নয়।

বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি বিষয়ক চিত্রগ্রাহক ফিরোজ আল সাবাহ জানান, মেঘ মুক্ত আকাশে ভোর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দৃশ্য দেখা যায়। জেলার সব স্থান থেকেই এ দৃশ্য খালি চোখে দেখা যায়। তবে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো সংলগ্ন সীমান্ত নদী মহানন্দার তীর এবং শালবাহান ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাঞ্চন।