বেগুনের কেজি ৫ টাকা

সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে বেগুনের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা কেজির বেগুন পাইকারিতে পাঁচ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, এসব বেগুন কিছুটা নিম্নমানের। কেউ কেউ গরুকে খাওয়ানোর জন্য এসব বেগুন কিনছেন। তবে ভালোমানের বেগুনের কেজি ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা লুৎফর রহমান বলেন, ‌‘বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। যার কারণে বাজারে এলেই ভয় লাগে। তবে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বেগুনের দামে। দুদিন আগে যে বেগুন ৩০ টাকা কিনেছি, তা এখন পাঁচ এবং ১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় আমাদের সুবিধা হয়েছে। অন্তত বেগুন ভর্তা ও ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো। সামনে রমজান। দাম কম থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা।’

ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বাজারে সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে হঠাৎ বেগুনের দাম কমেছে। কিছুটা নিম্নমানের বেগুন পাঁচ ও ভালোমানের ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমার কয়েকটি গরু আছে। গরুকে খাওয়ানোর জন্য পাঁচ টাকা দরে ১০ কেজি বেগুন কিনেছি।’

সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা কেজির বেগুন পাইকারিতে পাঁচ টাকা বিক্রি হচ্ছে

হিলি বাজারে বেগুন বিক্রি করতে আসা কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহেও বেগুনের দাম ভালো ছিল। প্রথম দিকে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করেছি। সেই সঙ্গে রমজান মাসে বেগুনের চাহিদা থাকায় আরও কিছু জমিতে গাছ লাগিয়েছিলাম। ওসব জমির গাছে বেগুন ধরেছে। পুরনো গাছগুলোতে আরও বেগুন আছে। ফলন ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে বেগুনের সরবরাহ বেড়েছে। এতে দামে ধস নেমেছে। কিছুটা ভালোমানের বেগুন ১০ টাকা বিক্রি করতে পারলেও একটু দাগযুক্তটা পাঁচ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচ উঠছে না আমাদের। এভাবে চললে লোকসান গুনতে হবে।’

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রমজান ঘিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ বেগুন গাছ লাগিয়েছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে এসব ক্ষেতের বেগুন একসঙ্গে উঠতে শুরু করেছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। ফলে ভালোমানের বেগুন ১২ টাকা আর দাগযুক্ত বেগুন সাত কেজি দরে খুচরা বিক্রি করছি।’

তিনি বলেন, ‘মানুষকে একপ্রকার জোর করে বেগুন দিতে হচ্ছে আমাদের। তবে কেউ কেউ গরুকে খাওয়ানোর জন্য পাঁচ টাকা কেজির বেগুন বেশি করে কিনে নিচ্ছেন।’