২২০ টাকার হাসিল ৬০০ আদায়

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বসুনিয়া হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আদায়কারীদের বাগবিতণ্ডা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গরু ব্যবসায়ী শাহিন ইসলাম বলেন, ‘হাটে তিন গুণ হাসিল আদায় করা হচ্ছে। একটি গরু কেনাবেচায় সরকার নির্ধারিত হাসিল ২২০ টাকা। আর আদায় করা হচ্ছে ৬০০ টাকা। এত বেশি টাকা যদি হাসিল দিতেই যায়, তাইলে ব্যবসা চলবে কীভাবে?’

একই হাটের ছাগল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমি প্রতি হাটে দু-একটি ছাগল কিনি। আবার কিছু লাভ হালেই বিক্রি করি। একটি ছাগল কেনাবেচা করতে ১৮০ টাকা হাসিল দিতে হয়। অথচ ছাগলের সরকার নির্ধারিত হাসিল ৬০ টাকা। প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের লোকজন ধমক দেয়, গালিগালাজ করে।

ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদে আদায়কৃত হাসিলের মূল্য লেখা হচ্ছে না। হাসিলের মূল্য লিখতে বললে ইজারাদারের লোকজন ধমক দেয়।’

টোল আদায়কারী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘যে গরু কিনছে তার কাছে থেকে ৫০০ টাকা, আর যে বিক্রি করছে তার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিচ্ছি। মোট ৬০০ টাকা হাসিল আদায় করছি।’

সরকার নির্ধারিত হাসিল কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা ইজারাদার জানেন। আমাকে যা হাসিল আদায় করতে বলা হয়েছে, আমি তাই আদায় করছি।’

ইজারাদার মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এবার দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এ হাট ইজারা নিয়েছি। নির্ধারিত মূল্যে হাসিল আদায় করলে, ইজারার অর্ধেক টাকাও উঠানো সম্ভব হবে না। অন্যান্য ইজারাদার যেভাবে হাসিল আদায় করছেন, আমরাও তাই করছি। বারবার আবেদন করার পরও কর্তৃপক্ষ নতুন ইজারার মূল্য নির্ধারণ করছেন না।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা শবনম বলেন, ‘ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’