ঘরে ঢুকে চুরির সময় যুবদল নেতা আটক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে চুরি করতে গিয়ে বিপুল মিয়া (৩৪) নামে এক যুবদল নেতা স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বাউশমারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, বিপুল মিয়া চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। চুরি ছাড়াও তার নামে মাদক ও জুয়া আইনে আরও দুটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার বিপুল মিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের নটানপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

পুলিশ, অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের মৃত পাশু মন্ডলের ছেলে বেলাল হোসেনের বাড়িতে হানা দেয় একটি চোরচক্র। পরে শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙে বাড়ির মালিকের। টের পেয়ে চোরচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে যুবদল নেতা বিপুল মিয়াকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

উদ্ধার হওয়া মালামাল

খবর পেয়ে পুলিশ বিপুল মিয়াকে আটক করে থানায় নেয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার প্রধান সহযোগী মধ্যইছাকুড়ি গ্রামের মৃত শহিদার রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, পাঁচটি চুড়িসহ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি শাবল জব্দ করে পুলিশ।

বিপুল মিয়ার চুরিসহ অন্যান্য অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন রৌমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিপুল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তাকে দলের কমিটিতে রাখার প্রশ্নে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ দায় আমার নয়। আমি এ ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দেই না। কমিটিগুলো সাধারণত কেন্দ্র ও জেলা থেকে নির্ধারণ করা হয়। ফলে আমাদের কিছু করার থাকে না।’

রৌমারী থানার ওসি রূপ কুমার সরকার বলেন, ‘বিপুল মিয়া স্থানীয় চোরচক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে ওই চক্রের ৫/৬ জন সক্রিয় সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার বিপুল মিয়াকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’