রংপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৯

৭ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, দুই লাশ ফাঁড়িতে

রংপুরের তারাগঞ্জে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিচয় পাওয়া সাত জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও দুজনের লাশ পড়ে আছে পুলিশ ফাঁড়িতে। এদিকে, এই ঘটনা তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়াকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই বিষয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোয়ান পরিবহনের বাসের চালক ও তার সহযোগী মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে যাত্রীরা তার কাছেও অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, দুর্ঘটনায়স্থলে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। আর চার জন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর মধ্যে সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

তারা হলেন- নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ওলিউর রহমান জুয়েল, উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের বিনোদচন্দ্রের ছেলে ধনঞ্জয় চন্দ্র, সয়ারকাজি পাড়ার কাছিম উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান, হাড়িয়ালকুঠি ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মজিবল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সাদেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম খোকন এবং গাইবান্ধা জেলার উত্তর কিতাবী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাদেক আলী, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কোন্দলপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোহসীন আলী সাগর। বাকি দুজনের নাম ও ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ।

এই বিষয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাহবুব মোরশেদ জানান, সাত জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি। তাদের লাশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।