করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৯ দিনেও খোঁজ মেলেনি তিন জনের

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনকে আজও পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে নবম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে উদ্ধার অভিযান সীমিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, এর আগে টানা আট দিন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিটের ৭০ জন সদস্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছিলেন। আজ থেকে অভিযান সীমিত করা হয়েছে। শুধু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বোদা ইউনিটের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিসের বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, সাত জন সদস্য নদীর বালুচরগুলোতে অভিযান চালাচ্ছেন। এখন স্পিডবোট ও নৌকার প্রয়োজন নেই। হেঁটে হেঁটেই অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৫০০ মিটার পাড়ি দিতেই ঝরলো ৬৯ প্রাণ

এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায় রবিবার রাতে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। 

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। যে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন: বেঁচে গেলো ছোট্ট দীপু, মায়ের লাশ এলেও বাবা নিখোঁজ

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বোদা উপজেলায় ৪৬ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৭ জন, আটোয়ারী উপজেলায় ২ জন, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় একজন এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ৩ জন। এসব মৃত ব্যক্তির মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ৩০ জন এবং শিশু ২১।

নিখোঁজ তিন জন হলেন– দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের মদন চন্দ্রের ছেলে ভুপেন ওরফে পানিয়া, বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথের ছেলে সুরেন এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে জয়া রানী।