মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে এই জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা কমেছে। কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় ৬ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এতে জেলার দরিদ্র, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলছে। দিনভর মিষ্টি রোদে কিছুটা স্বস্তি পেলেও সূর্যের আলোর প্রখরতা নেই। ফলে কনকনে শীতে খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইন জ্বালিয়ে।

পঞ্চগড়-২

ট্রাকচালক মকলেছার রহমান বলেন, ‌‘ঘন কুয়াশা থাকায় ট্রাক চালাতে পারছি না। হেডলাইট ও ফগ লাইট জ্বালিয়েও রাস্তায় কিছু দেখা যায় না।’

ভ্যানচালক রহিম উদ্দিন বলেন, ‘সকাল সকাল ভাড়া নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়। আয়-রোজগার কমে গেছে। দৈনিক মহাজনের টাকাও পরিশোধ করতে হয়। এত কম আয়ে কীভাবে যে সংসার চলবে চিন্তায় আছি।’

পঞ্চগড়-৩

ময়দানদিঘী ডিগ্রি কলেজের ভুগোলবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শেখ সাজ্জাদ হোসেন জানান, এবারের শীতের প্রকৃতি বা নেচারটা একটু ভিন্ন রকম। অন্যবার একটানা ঘন কুয়াশা থাকতো। সারাদিন সূর্য দেখা যেতো না। দিনরাত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট পেতো। এবার কষ্ট কিছুটা কম। সন্ধ্যা থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকে। এরপর সূর্যের মুখ দেখা যায়। মানুষ কিছুটা হলেও উষ্ণতা নিতে পারে।  

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস আবহাওয়া পর্যেবক্ষক মো. রোকনুজ্জামান রোকন জানান, আজ পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে জেলা ও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।