পাঁচ সাংবাদিককে গালি-হুমকি: তদন্তে মিলেছে সত্যতা

আদালতে যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশসহ পাঁচ সাংবাদিককে গালি ও হুমকির ঘটনায় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। 

তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজন সাহা গত ২৫ জানুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে এই প্রতিবেদন জমা দেন।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজন সাহা বলেন, ‘বাদীর সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। তদন্তে গালি ও হুমকির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় নন এফআইআর প্রসিকিউশন মামলা করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’

নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২ আগস্ট রংপুর কোতয়ালি থানায় জিডি করেন পলাশ। জিডির তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঠান তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে গত ১৮ আগস্ট জিডির তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। 

জিডিতে বলা হয়, গত ২ আগস্ট দুপুরে রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলার হাজিরা দিতে যান পলাশসহ গাইবান্ধার পাঁচ সাংবাদিক। এসময় আদালতের বারান্দায় তাদের গালি দেন নুরুন্নবী। তিনি পলাশসহ অন্যদের মারতে যান। এসময় তিনি বলেন, ‘তোকে দেখে নেবো, তোকে এবার মজা দেখাবো। তুই ১৫০ বান্ডিলকে ৫২০ বান্ডিল দেখিয়ে মিথ্যা নিউজ করেছিস, তুই আমাকে হয়রানি করেছিস, এখন আদালতে এসে হয়রানি হ।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে নুরুন্নবীর এক উপজেলাতে টানা পাঁচ বছরের কর্মসময়ের ঘুষ-দুর্নীতির একাধিক প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। পরে তদন্তে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের প্রমাণ মেলায় তাকে বদলি করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক বিভাগীয় মামলা করে লঘুদণ্ড দেয় অধিদফতর। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর রংপুর আদালতে মানহানির দুটি মামলা করেন নুরুন্নবী।