অন্যের জমি নিজের দাবি করে আদালতে মামলা করেছিলেন দুই ব্যক্তি। সেইসঙ্গে জমির নকল দলিলপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে দলিলপত্র পর্যালোচনায় বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। প্রাথমিক যাচাইয়ে দাখিলকৃত দলিলপত্র নকল বলে প্রতীয়মান হওয়ায় ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন আদালত। মামলার পর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
কুড়িগ্রামের রৌমারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ওই আদালতের সেরেস্তাদার আলী হাসান বাপ্পী গত ২৪ জুলাই কুড়িগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে দুই বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। আলী হাসান বাপ্পী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন রৌমারী উপজেলার বালুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আতাউর রহমান ও উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ নামাজের চর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে মো. আব্দুল আউয়াল। এর মধ্যে আতাউর রহমান ২০২২ সালে করা মামলায় নকল আরএস খতিয়ান দাখিল করেন। আব্দুল আউয়াল ২০১৫ সালে করা মামলায় জাল দলিল দাখিল করেন। বিষয়টি আদালতের নজরে এলে দুই বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালত সূত্র জানায়, রৌমারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আলী হাসান বাপ্পী গত ২৪ জুলাই রৌমারী আমলি আদালতে এই দুটি মামলা করেন। আদালত মামলটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সেরেস্তাদার আলী হাসান বাপ্পী বলেন, ‘বাদীদের করা দুই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। পৃথক দুই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলা দুটিতে দুই জন বাদী যে কাগজ দাখিল করেছেন, তার মধ্যে একজনের দাখিলকৃত আরএস খতিয়ান এবং একজনের দাখিলকৃত দলিল আদালতের কাছে নকল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এজন্য আদালতের সেরেস্তাদারকে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পরে বাদী হয়ে মামলা করেছি। তখন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’