মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড না তুলেই চালাচ্ছিলেন, ছিটকে পড়ে প্রাণ গেলো দুজনের

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে চালকসহ দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক আরোহী। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যালে নেওয়ার পর দুই জন মারা যান। নিহতরা হলেন- মনিরুজ্জামান পাভেল (৩১) ও হোসেন আলী (৩৩)। পাভেল উলিপুর উপজেলার পৌর এলাকার সরদার পাড়ার শের আলীর ছেলে। হোসেন আলী একই উপজেলার উত্তর দলদলিয়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে। আহত যুবকের নাম মারজান (২৮)। তিনি উপজেলার হায়াৎ খাঁ এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পাভেলের বড় ভাই ময়নুল ইসলাম পারভেজ বলেন, ‘বিকালে দুই ভাই একসঙ্গে চা খেয়েছি। তাকে আমাদের ফার্মেসিতে বসতে বলে বাড়ি গিয়েছিলাম। সে দোকানে গিয়ে ছেলেদের বলেছে, একটু যাবো আর আসবো। এই বলে তারা তিন জন মোটরসাইকেলে করে বের হয়। কোথায় যাচ্ছিল জানি না। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওর ফোন থেকে একজন কল করে জানায়, মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। পরে আমরা ছুটে যাই। কিন্তু রাতে ওর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরি।’

দুর্ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত যুবকের বরাতে পারভেজ আরও বলেন, ‘ওরা বৈদ্যের বাজারে গিয়ে তিন জন চা খেয়েছিল। পরে আবার মোটরসাইকেলে উঠে রওয়ানা হয়। কিন্তু ভুলে মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড তোলেনি। কিছুদূর গিয়ে মোড় ঘোরার সময় সড়কে স্ট্যান্ডের ধাক্কা লেগে তিন জনই ছিটকে পড়ে। চালক হোসেন আলী ও পাভেল সড়কের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি কংক্রিটের পিলারে ধাক্কা খায়। আহত তিন জনকেই প্রথমে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারি, পাভেল মারা গেছে। পাভেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে জানতে পারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোসেন আলীও মারা গেছে।’

পাভেল বিবাহিত ও তার দেড় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে বলে জানান পারভেজ। নিহত অপর যুবক হোসেন আলীর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

রাজারহাট থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, ‘দুই যুবক নিহতের ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।’