ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন হাঁসারা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটক দুজন হলেন– ওই বাসের সুপারভাইজার ফরিদপুর জেলার কানাইলালের ছেলে কল্যাণ বিশ্বাস এবং হেলপার (চালকের সহকারী) ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি জানান, দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসের চালক ও ওই পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আটকে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয়। চালক এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ঘাতক বাসটি জব্দ করে হাঁসারা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুকুর এলাকা থেকে রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে বিকল হয়ে যায়। মহাসড়কের পাশে রেখে চাকা ঠিক করা হচ্ছিল। সে সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের চাপা দেয়। এতে এক নারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাত জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আরও চার জনকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও খবর: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫