আমদানি ও বাজারে সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে আদার দাম কমেছে কেজিতে ৬০ টাকা। দাম কমায় খুশি নিম্নআয়ের মানুষজন। তবে দাম যেন আরও কমে সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে দাবি জানালেন ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহ ও আমাদানি অব্যাহত থাকলে দাম বাড়বে না।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে হিলি বাজারে দেখা গেছে, দেশীয় ও ভারতীয় আদা নেই। সব দোকানে আমদানিকৃত মিয়ানমারের আদা আছে। সরবরাহ বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৩০-১৪০ টাকায় খুচরায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে আরও ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।
হিলি বাজারে আদা কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একে তো আয়-রোজগার কম। এ অবস্থায় জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে স্বস্তির খবর হলো আদার দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকায় কিনেছিলাম। এখন ১৪০ টাকায় পাচ্ছি। দাম কমায় আমার মতো নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি কমেছে।’
হিলি বাজারের আদা বিক্রেতা আবুল হাসনাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মৌসুম শেষ হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে দেশি আদার সরবরাহ নেই। ফলে আমদানিকৃত ভারতীয় আদা দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। কিন্তু ভারতীয় আদার মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় ও বাড়তি দামের কারণে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গিয়েছিল। বাড়তি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছিল আমাদের। এরই মধ্যে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আদা আমদানি শুরু হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি আমরা।’