গ্রেফতারকৃত মুখলেছুরের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলাধীন রায়েরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে।
এদিকে হবিগঞ্জ দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পরপরই এই বন কর্মকর্তাকে হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, থানা কর্তৃপক্ষ আজই তাকে হবিগঞ্জ কোর্টে হাজির করার পর মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল দায়েরকৃত মামলায় মৌলভীবাজার জেলাধীন জুরিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় মুখলেছুর রহমান বনবিভাগের বিভিন্ন খাতের আয় থেকে প্রাপ্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৪২ টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। আর এই কারণে তার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২নং আইনের ৫ (২) ধারার অপরাধ করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলা নং-৪০৯।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ওই টাকা আত্মসাতের দায়ে মুখলেছুর রহমান জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেফতার করা হলেও তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত উক্ত মামলার তদন্ত চলবে।
এদিকে দুদক প্রতিরোধ কমিটির মেম্বার সাংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বললে তিনি ওই মামলা বা কর্মকর্তাকে আটকের বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে বলেন, দুর্নীতি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্ত অবস্থানে যেমন রয়েছে, তেমনি দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত হলে দুদক কাউকে ছাড় দেবে না।.
/এআর/