সূত্রে জানা যায়, খোয়াই নদীর ওপর ভাদৈ এলাকায় ব্রিজ না থাকায় ১৫টি গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে ৩ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। যেখানে ব্রিজ হলে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই জেলা শহরসহ উপজেলা শহরে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোয়াই নদীতে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করতে। শুষ্কè মৌসুমে পানি নদীতে কম থাকলেও বর্ষা মৌসুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ছোট একটি ডিঙি নৌকার মাধ্যমে হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ভাদৈ এলাকায় একটি ব্রিজ স্থাপনের দাবি করে আসছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
খেয়া নৌকা দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া করা শিক্ষার্থী আকবর মিয়া জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় অনেক সময়ই নৌকাডুবে বই খাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নদীতে তলিয়ে যায়। ফলে মাঝেমদ্যে স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না।
একই এলাকার লুৎফা আক্তার জানান, নৌকায় পারাপারের সময় জীবনের ঝুঁকি থাকে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন লোক নৌকা ডুবে মারা গেছে। এরপরও বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই যেন দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এতে করে এলাকার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
পশ্চিম ভাদৈ গ্রামের আলী হোসেন জানান, ব্রিজ না থাকার কারণে তার ছেলে-মেয়েরা সঠিক সময়ে স্কুল, কলেজের পৌঁছাতে পারে না। তাদেরকে দীর্ঘদিন কষ্ট করে খেয়া নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, প্রতি বর্ষার সময়েই নৌকাডুবে মানুষ মারা যায়। এরপরও আমাদের চলতে হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার পিয়ার মিয়া বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খোয়াই নদীর ভাদৈ এলাকার একটি ব্রিজ স্থাপন করার। কিন্তু কোনও সরকার এ ব্যাপারে নজর দেয়নি। আমাদের এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে ভাদৈ এলাকায় একটি ব্রিজ স্থাপন করার।’
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাহির সেকান্দার বলেন, ‘পূর্বাঞ্চল এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ভাদৈ এলাকায় একটি ব্রিজ স্থাপন। এখান প্রায় ১শ ফুটের বেশি বড় ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। ব্রীজ নির্মাণের জন্য বুয়েটের মাধ্যমে ব্রিজের সার্ভের কাজ শেষে হয়েছে। শিগগিরই ব্রিজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আর ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের কষ্ট দূর হবে।’
/এআর/