সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভুইয়া জানান, মেঘালয় থেকে আসা পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রায় এক হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমির রোপা-আমন ধানের চারা তলিয়ে গেছে। দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৫ হেক্টর সবজি বাগানের ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের কাজ অব্যাহত আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিজাম উদ্দিন জানান, জেলার বেশকিছু স্কুলে পানি ঢুকেছে। জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন পর্যন্ত পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বায়েজিদ খাঁন জানান, জেলা ৭টি উপজেলার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষকেরা স্কুলে যাবে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলে সহযোগিতা করা হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জেলার ১১টি উপজেলায় ৩ মেট্রিকটন করে জিআর চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১০ হাজার করে জিআর ক্যাশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
/এফএস/