হাওরে ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কট মোকাবেলায় উদ্যোগ নিয়েছে সুনামগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার চলতি নদীতে বালি পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের কিছুদিন বালিপাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে হাওরের পাকা ধান কাটার জন্য আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে স্পিডবোটে করে চলতি নদীর তীরবর্তী সাহেব বাড়িঘাট, অলিরবাজার ওয়েজ খালী ও অক্ষয়নগরসহ বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে পুলিশ শ্রমিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করে এবং হাওরের ধান কাটার আহ্বান জানান।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের ৩৫ সদস্যদের একটি দল হাওরে ধান কাটার প্রচারণা ও মতবিনিময় চালান। এসময় নদীতে বালিপাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা হাওরে ধান কাটতে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
চলতি নদীর ধোপাজানবালি মহালে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১০ হাজার শ্রমিক বালিপাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মতবিনিময়কালে সুনামগঞ্জ সদর থানা ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কট রয়েছে। তাই সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বালিপাথর মহালে কর্মরত শ্রমিকদের হাওরে ধান কাটতে যাওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের বেশ সাড়া পাওয়া গেছে।’