বন্যায় মৌলভীবাজারে পর্যটকের উপস্থিতি কম

লাউয়াছড়ায় ঈদের দিনে পর্যটকরাঈদের ছুটিতে অনেকেই সিলেটে বেড়াতে যান। তাই ওই সময়টা জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। তবে এ বছর ঈদুল ফিতরের আগে অব্যাহত বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানে পর্যটকের উপস্থিতিও কম।

মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে আছে  লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর চা বাগান হৃদ, গারোটিলা, খাসিয়া পুঞ্জি ও সবুজ গালিচা ভরা চা বাগান। ঈদের সময় এসব এলাকা পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেভাবে পর্যটক আসেনি।

ঢাকা থেকে আসা শায়লা খন্দকার, সুমি বেগম জানান, শহরে কর্মব্যস্ত জীবনে কোথাও বেড়ানো যায় না। তাই ঈদের ছুটিতে শান্ত সবুজ প্রকৃতির মাঝে সবাইকে নিয়ে বেড়াতে ভালো লাগছে।

মাধবপুরের চা বাগারে মাঝখানে থাকা হ্রদ ছিল সবার আকর্ষণ। কমলগঞ্জের কুরমা সংরক্ষিত বনের গভীরে রয়েছে হামহাম জলপ্রপাত। অন্যান্য বছরে এটি দেখতেও অনেকে আসতো। তবে এবার বন্যার কারণে পর্যটকের উপস্থিতি কমেছে।

lawachara-pic-touristলাউয়াছড়া ইকো কটেজের ব্যবস্থাপক মো. তুহেল আহমদ বলেন, ‘বুকিং দিয়ে অনেকে বুকিং বাতিল করেছে। তারা অগ্রিম টাকাও দিয়েছিল। তারপরও এবার পর্যটকের উপস্থিতি মোটামুটি।’

লাউয়াছড়া ট্যুর গাইড সৈয়দ রিজভী জানান, বন্যা না হলে পর্যটকের ভিড় থাকতো।

লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী) আনোয়ার হোসেন জানান, উদ্যানে ঈদের দিন ও পরের দিনে কিছু পর্যটক ছিল। বন্যার কারণে পর্যটকরা অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে যেতে না পারায় তারা লাউয়াছড়া বেছে নিয়েছে। তাই যেসব পর্যটকের সমাগম হয়েছে তারজন্য বিট অফিসার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।