কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মধুয়ারচর গ্রামের শাহীন আহমদ বলেন, ‘আগে জানতাম পুলিশের চাকরি পেতে লাখ লাখ টাকা লাগে। আর এখন একশ টাকাতেই চাকরি পেলাম।’
চাকরি পাওয়া তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের ভূমিহীন পরিবারের মেয়ে আছমিনা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা নেই। কাকা আমাদের লালন-পালন করেছেন। আমরা পাঁচ বোন দুই ভাই। ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অবস্থা আমাদের নেই। একশ টাকায় পুলিশে চাকরি পাওয়া যাবে, এ কথার ওপর বিশ্বাস করে আবেদন করি। চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাস করেছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের সাটিং মারেকের মেয়ে ঝিনুক মারেক পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ভাই এক বোন। বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালান। টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। একশ টাকায় আবেদন করে চাকরি পেয়ে আমি খুশি।’
সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের অমৃতশ্রী গ্রামের কৃষক বীরেন্দ্র দাসের মেয়ে অর্পিতা দাস বলেন, ‘একশ টাকা দিয়ে পুলিশের চাকরি মিলবে, এটা কখনও ভাবিনি। কিন্তু, একশ টাকা দিয়েই পুলিশের চাকরি পেয়েছি।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে জেলা পুলিশ লাইন মাঠে ফল ঘোষণার পর পুলিশ সদস্যপদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এভাবে তাদের অনুভূতিগুলো সবার সামনে ব্যক্ত করেন। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। পুলিশ সদস্য পদে মোট ১ হাজার ৬শ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৫ জন তরুণ-তরুণীকে চূড়ান্ত করা হয়। সাধারণ কোটায় ১২৩ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৭২ জন, সাধারণ কোটায় নারী ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৭ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ৩ জন, উপজাতি কোটায় ২ জন ও আনসার কোটায় ৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা এবং সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আজাদ ও মামুন চিশতিসহ নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিরা।